‘আমরা রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি’ ।। শরিয়া, মুসলিম সমাজ ও সেক্যুলারিজম সম্পর্কে আন- নাঈমের একটা সাক্ষাৎকার।।
সাক্ষাৎকার গ্রহণঃ ক্লডিয়া মেন্ডে।
অনুবাদঃ আবুল কালাম আজাদ।
[ আবদুল্লাহি আহমেদ আন-নাঈম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার এমোরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল’তে কর্মরত আছেন। আধুনিক সেক্যুলার রাষ্ট্র আর শরীয়ার মধ্যে কিভাবে মিলমিশ করানো যায় এ বিষয়ে এই ইসলামী পন্ডিত বিস্তর গবেষণা করেছেন। ক্লডিয়া মেন্ডে এই সাক্ষাৎকারে তার সাথে কথা বলছেন সেক্যুলারিজমের বিভিন্ন চেহারা, শুরুর দিকের ইসলামের ইতিহাসে রাষ্ট্র ও ধর্মের পৃথকীকরণ এবং কেন তিনি মনে করছেন, মুসলমানরা একটি রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ]
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ সেক্যুলার রাষ্ট্রে শরিয়া- এটা কি স্ববিরোধী শোনাচ্ছে না?
আন-নাঈমঃ প্রশ্নটা হল- শরিয়া বলতে মানুষ কি বোঝায়? মানুষ সাধারণত এর আইনি দিকটা নিয়েই ভাবে, যেন শরিয়ার গোটা বিষয়টাই এই। শরিয়া মূলত কোরান, সুন্নত ও হাদিস বা নবীর জীবনাচরণের উপর গড়ে ওঠা অনুশাসনগত পদ্ধতি। তাই, এভাবে যদি দেখি, কোনো মুসলমান কিভাবে এবাদত বন্দেগী করবে বা কিভাবে রোজা রাখবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি শরিয়া থেকে খোঁজে, এমন কি সেক্যুলার রাষ্ট্রেও তার এই অধিকার থেকে তাকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না।
রাষ্ট্র কোথাও শরিয়াকে চাপিয়ে দিতে পারবে না। “মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ” বা মুসলিম সংখ্যালঘু দেশ যা-ই হোক না কেন, রাষ্ট্রের পক্ষে শরিয়াকে আইন হিসেবে কার্যকর করা সম্ভবই না। শরিয়ার ধরনই এমন যে একটা বিধিবদ্ধকরণ করা যায় না। এটা হচ্ছে ব্যাখ্যা যা মানুষ নিজস্ব বিশ্বাস অনুসারে বাছাই করে।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ তাহলে আপনি শরিয়াকে কিভাবে দেখেন?
আন-নাঈমঃ শরিয়া মুসলমানদের নৈতিক পথপ্রদর্শন করে। রাষ্ট্র ও ধর্মকে পরিষ্কারভাবে পৃথক করতে হবে। একজন মুসলমান হিসেবে আমি সেক্যুলার রাষ্ট্র চাই যাতে আমি বিশ্বাস ও পছন্দের মাধ্যমে ইসলাম চর্চা করতে পারি। রাষ্ট্রের সেক্যুলার হবার প্রয়োজনীয়তা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেই উঠে আসে। এর সাথে ইউরোপীয় আলোকায়নের কোনো সম্পর্ক নাই। আমি কি বিশ্বাসী নাকি নাস্তিক এর সাথে রাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নাই।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ শরিয়ার মধ্যে আইনগত দিক আছে কিন্তু এটা বিধিবদ্ধ আইন/আইনের বিধি না।
আন-নাঈমঃ শরিয়ার ধরণটাই এমন যে একে বিধিবদ্ধ করা যায় না। বিধিবদ্ধ করতে গেলেই পরস্পরবিরোধী অভিমতের ব্যাখ্যার একটা বিশাল ঐতিহ্য ও জ্ঞানের শাখাকে একটা সরল দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পরতে হয়, যে দৃষ্টিভঙ্গিটি সাধারণত ঐ লোকদের হয়ে থাকে যারা রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।
মরক্কো ও মৌরিতানিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত, রাষ্ট্রগুলো মুসলিম পারিবারিক আইন ব্যবহার করতে চায়। এটা ভুল কারণ এখানে মুসলমানরা তাদের নিজস্ব ইচ্ছায় নয় বরং সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজেদের পছন্দসই বিধিকে বাছাই ও জোড়াতালি দিয়ে এই আইন তৈরী করে।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ ধর্ম আর রাজনীতি যদি পরিষ্কারভাবে আলাদা হয়ে যায়, নাগরিক বাহাসে ধর্ম কি ভূমিকা পালন করবে?
আন-নাঈমঃ আমার কাছে রাষ্ট্র ও রাজনীতি আলাদা। রাষ্ট্রের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু রাজনীতি হচ্ছে ঐ ক্ষেত্র যেখানে ধর্ম খুবই প্রাসঙ্গিক। আপনি কখনো ধর্মকে রাজনীতির বাইরে রাখতে পারবেন না। জার্মানির সিডিইউ(=ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি) যেমন বিশ্বাস করে তাদের রাজনৈতিক প্লাটফর্মটি খৃষ্টধর্ম দ্বারা প্রভাবিত, বিশ্বাসীরা- তাদের ধর্ম যা-ই হোক না কেন, তাদের নিজস্ব বিশ্বাস থেকেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নেয়। আপনি শরিয়াকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করে দিলেও মুসলমানরা শরিয়া বলতে তারা যা মনে করে সে অনুযায়ী কাজ করে যাবে। এই সম্ভাবনাকে আপনি আটকাতে পারবেন না যতক্ষণ না আপনি মুসলমানদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ আপনি কেন বলছেন যে এর সাথে আলোকায়নের ও পাশ্চাত্যের সেক্যুলারের ধারণার কোনো সম্পর্ক নাই?
আন-নাঈমঃ ১৪০০ বছর আগে, মুসলমানরা মদিনায় যে প্রথম রাষ্ট্র গড়েছে তা ইসলামিকও ছিল না, ধর্মীয়ও ছিল না। সেখানে বসবাসরত লোকজন বা তাদের শত্রুরা- কেউ-ই একে ইসলামিক স্টেট বলে দাবী করে নাই। ইসলামিক স্টেটের ধারণা একটা ঔপনিবেশিকোত্তর বা উত্তর ঔপনিবেশিক ধারণা যা ইউরোপীয় জাতি রাষ্ট্রের ধারণা ও মুসলিম পরিচয়ের ক্ষেত্রে মুসলমানদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ধারণার যোগফল। আমরা কোনোভাবেই এই দাবী করতে পারি না যে পৃথিবীতে যা কিছু ঘটছে তা সবই হচ্ছে আলোকায়ন ও ইউরোপে সেক্যুলারিজমের কারণে।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ অন্য ভাষায় বলতে গেলে, সেক্যুলারিজমের অনেক ধরণ আছে?
আন-নাঈমঃ জার্মানিতে যাকে সেক্যুলার স্টেট বলে গ্রহণ করা হয়, ফ্রান্সে সেটা অগ্রহণযোগ্য। ফ্রান্সের মানদণ্ডে জার্মানি সেক্যুলার রাষ্ট্র হিসেবে উত্তীর্ণ হবে না। আবার, যুক্তরাজ্যও, যেখানে রানী চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান, জার্মানির মানদণ্ডে এটাও সেকুলার রাষ্ট্র হিসাবে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। যদিও সবাই স্বীকার করবে যে, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স তিনটাই সেক্যুলার রাষ্ট্র। ইউরোপীয় আলোকায়নের ফলে সেক্যুলার রাষ্ট্র এসেছে- এটা অতিসরলীকরণ, যার প্রমাণ খোদ ইউরোপের ইতিহাসেও পাওয়া যাবে না। কিন্তু জাতি রাষ্ট্রের ধারণাটি ইউরোপীয় এবং এটি যেখানে মুসলমানরা বাস করে এমন এশিয়া ও আফ্রিকার মত উপনিবেশিত অঞ্চলে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুসলমানরা ঔপনিবেশিক শাসন কাটিয়ে উঠলেও তাদের ইউরোপীয় জাতি রাষ্ট্রের আদলে তৈরি রাষ্ট্রেই বাস করতে হয়েছে। তারা এটা বাছাই করে নাই, এবং এটা তাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ থেকেও উঠে আসে নাই। ইউরোপীয় শক্তিগুলো তাদের ইচ্ছামত এটা চাপিয়ে দিয়েছে। এখন ইরাক ও সিরিয়ায় এর মর্মান্তিক ফলশ্রুতি দেখা যাচ্ছে।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ ঔপনিবেশিকতাই কি সেই কারণ যার জন্য আরবের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম?
আন-নাঈমঃ না, অবশ্যই না। কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম– এর কি অর্থ দাড়ায়? প্রসঙ্গক্রমে বলি, আয়ারল্যান্ডের মত অন্য অমুসলিম রাষ্ট্রেও কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্ম নির্ধারিত আছে। ধর্মীয় পরিচয় যে মানুষের জন্য ভিত্তিস্বরূপ- এটা একেবারেই বোধগম্য বিষয় এবং মানুষের মধ্যে প্রচলিত কিন্তু এর কোনো আইনি দিক নাই। মৌরীতানিয়া, পাকিস্তান ও ইরান বলে ইসলাম তাদের রাষ্ট্র ধর্ম। আমরা কি বলতে চাচ্ছি এগুলো সব একই ধরনের ব্যাপার?
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ এর মানে হচ্ছে রাষ্ট্র ও ধর্ম আলাদা না।
আন-নাঈমঃ আপনি যদি মিশরের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ এর দিকে তাকান, আপনি দেখবেন, সেখানে বলা আছে, রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম। কিন্তু সংবিধানের বাকি অংশে অনুচ্ছেদ ২ এর আর কোনো উল্লেখ নাই। তাই এটা অর্থহীন, প্রোপাগান্ডা, রাষ্ট্রকে জায়েজ করে নেবার একটা উপায়। মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডকে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সামরিক বাহিনীই মিশরকে শাসন করছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা এখন কারাগারে আছে এবং রাজনৈতিক অপরাধে তাদের মৃত্যুদন্ড হচ্ছে। সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করেছে এবং এখনো অনুচ্ছেদ ২ বহাল আছে যেটা বলছে যে রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম। সেখানে রাষ্ট্রের সাথে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা শক্তিশালী মিত্রতা আছে, যা যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের সেবা করে, এর বেশি কিছু না।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ আপনি মুসলমানদের ডাক দিচ্ছেন “ঔপনিবেশিকতা থেকে দেশীয় আত্ম-মুক্তি ঘটানোর জন্য? এটা দিয়ে আপনি কি বোঝাচ্ছেন?
আন-নাঈমঃ এর মানে হচ্ছে, মুসলমানদের হৃদয় ও মন ইউরোপীয় জ্ঞানকান্ড, দর্শন, প্রশাসনিক ধারণা দ্বারা উপনিবেশিত হয়ে চলেছে, যদিও কাগজে-কলমে তারা কয়েক যুগ ধরে স্বাধীন। উপনিবেশায়ন শুধুমাত্র সামরিক দখল না, এটা উপনিবেশকারী ও উপনিবেশিত- উভয়ের মানসিক অবস্থা। যারা উপনিবেশায়নের শিকার হয়, তারা ঔপনিবেশিক ও নয়া ঔপনিবেশিক নীতিমালা ও অগ্রাধিকারের কাছে বশ্যতাস্বীকারের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক চিন্তাপ্রক্রিয়া জারি রাখতে ভূমিকা পালন করে। মুসলমান হিসাবে আমার নিজের মন, হৃদয় ও আত্মাকে মুক্ত করা প্রয়োজন যাতে আমি নিজের হতে পারি। আমি ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকা বা অন্য কোনো সংস্কৃতির কোনো প্রভাবকে অগ্রাহ্য করছি না।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ সেক্যুলার রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এর কি মানে দাড়ায়?
আন-নাঈমঃ আমরা যদি ইউরোপীয় মডেল অনুসরণ করি, আমরা উপনিবেশিত থেকে যাই, এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রণ ঐভাবে না থাকলেও। আমার রাজনৈতিক চিন্তাকে আমাদের ইতিহাসের মধ্যে রোপন করে, ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায় ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ইসলামের সত্যিকারের ইতিহাস উন্মোচনের চেষ্টার মাধ্যমে আমি মানসিকভাবে স্বাধীন হচ্ছি। আমি ফরাসি, ব্রিটিশ বা জার্মান মডেল অনুসরণে আগ্রহী নই; আমি আমার রাজনৈতিক মতবাদ ও অনুশীলনকে এমনভাবে গড়তে চাই যাতে তা ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে যায়।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ আপনার একটা বইয়ের নাম হচ্ছে “ইসলামি সংস্কারের দিকে” (Towards an Islamic Reformation)। ইদানিং অনেক পন্ডিতই ইসলামের মধ্যে সংস্কারের কথা বলে, যদিও এটা দিয়ে তারা কী বোঝান তার বিভিন্নতা রয়েছে।
আন-নাঈমঃ এ জন্যেই ইসলামি সংস্কার বলতে আমরা কি বোঝাই তা খুলে বলা উচিৎ। মুসলমানরা তাদের মনস্থির করুক। ইউরোপীয় সংস্কারের সত্যিকার ইতিহাস, একজন জার্মান পুরোহিত গীর্জার দরজায় কিছু দাবিদাওয়া লিখে আসলেন এর থেকে অনেক জটিল। রূপান্তর আন্দোলনের জন্য দীর্ঘ সময় লাগে, এবং অনেকসময় এটা এক ধরনের আন্ত-প্রজন্মের মধ্যে গঠিত ঐক্যমত যা একটা অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে অনেক প্রজন্ম ধরে বিকশিত হয়। ঐ সময়ে যারা জীবত ছিলেন তারা জানতেন না যে তারা খৃষ্টান সংস্কারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ১০০ না ২০০ বছর পর মানুষ ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকিয়েছে এবং বলেছে- এটা ফরাসি বিপ্লব ছিল।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ ইসলামের নবায়নের ক্ষেত্রে এটা কি বার্তা বহন করে?
আন-নাঈমঃ ইসলামি সংস্কারেরও প্রায় একই রকম প্রক্রিয়া। পৃথিবীতে ১.৬ বিলিয়ন মুসলমান আছে এবং ইসলামের এতগুলো ধরণ আছে পৃথিবীতে! এগুলাতো তো গাড়ির যে রকম একটা মূল চাবি থাকে এ রকম একটা না যে কেউ একজন আপনাকে ধরিয়ে দিয়ে বলল– এটাই ইসলামি সংস্কার। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ বিভিন্ন ধারণা হাজির করছে যা স্থানীয় লোকজনকে টানতে পারে, আবার না-ও পারে। কারো ধারণা গৃহীত হবার আগে সে খুনও হয়ে যেতে পারে। মানব ইতিহাসে তা বিরল নয়।
ক্লডিয়া মেন্ডেঃ মুসলমানরা কি এখন এ ধরনের সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যখানে আছে?
আন-নাঈমঃ হ্যাঁ, কারণ তারা এটা নিয়ে কথা বলছে। কারণ তাদের মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা, বা নারীর অধিকার বিষয়ে ইসলামের ঐতিহাসিক বোঝাপড়ার কিছু দিক নিয়ে মতবিরোধ আছে। চল্লিশ বছর আগে আমি যখন খার্তুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, আমি সংবিধান, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি অনুরক্ত ছিলাম, কিন্তু সেখানে তখন শরিয়া বলতে যা বোঝাতো তাতে এগুলো গ্রহনযোগ্য ছিল না। আমি যে একটা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে সচেতন আছি- এটা ঐ প্রক্রিয়ারই অংশ। তাই, হ্যাঁ, আমরা একটা রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।
সুত্রঃ কান্তারা, ২০১৭ ।প্রকাশকালঃ ২৬.০৭.২০১৭।
সিরিজ সম্পাদক-অরূপ রাহী।। প্রুফ রিডিং- হাসিবুল হাসান শান্ত।। কপি এডিটিং- জাকারিয়া হোসাইন